���������������-���������������
Wellcome to National Portal



Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd অক্টোবর ২০২৩

শিক্ষা ব্যবস্থাপনা

শিক্ষা ব্যবস্থাপনা:

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহ বাংলাদেশে শিক্ষা সংক্রান্ত সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করে থাকে।

 

শিক্ষার বিভিন্ন ধারা:

প্রথামিক শিক্ষা, সাধারণ ও মাদ্‌রাসা এ দুই  প্রধান ধারায় পরিচালিত। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা সাধারণ, কারিগরি ও মাদ্‌রাসা এ তিনটি ধারায় পরিচালিত। উচ্চ শিক্ষাও তিনটি ধারায় পরিচালিত। সাধারণ (বিজ্ঞান ও ফলিত বিজ্ঞান, কলা, ব্যবসায় শিক্ষা ও সামাজিক বিজ্ঞান), মাদ্‌রাসা এবং টেকনোলজি শিক্ষা। টেকনোলজি শিক্ষার মধ্যে কৃষি, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, টেক্সটাইল, লেদার এবং আইসিটি অন্তর্ভুক্ত। সাধারণ শিক্ষার মত মাদ্‌রাসা শিক্ষায়ও প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে একই ধরনের বিষয় পড়ানো হয় তবে ধর্মীয় শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। 

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়:

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ গঠন করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা সংক্রান্ত নীতি, কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচি (প্রাথমিক শিক্ষা স্তর পরবর্তী উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা), প্রণয়ন, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষন ও মূল্যায়ন করে থাকে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা ও পরিদর্শন কার্যাদি সম্পন্ন করে থাকে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি):

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা ও উদ্ভাবনী গবেষণায় উৎকর্ষতা অর্জন, টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। সময়ের সাথে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার পরিধি ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করায় বর্তমানে ইউজিসির কার্যক্রম বিস্তৃত হয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান, উচ্চ স্তরের শিখন-শেখানো পদ্ধতির মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা প্রদান, সর্বোচ্চ উদ্ভাবনী গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন ঘটানো- ইউজিসির মূল দায়িত্ব । এই প্রতিষ্ঠান পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি এবং তত্ত্ববাধনের দায়িত্ব পালন করে থাকে।

 

বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল:

পরিবর্তনশীল বিশ্ব ও ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে গুণগত শিক্ষা বা মানসম্মত শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে মানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদান এবং আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন প্রণীত হয়। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানসমূহের একাডেমিক প্রোগ্রাম অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল নিজস্ব রূপকল্প, অভিলক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলি নির্ধারণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক  বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আন্তর্জাতিক কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স নেটওয়ার্কের সাথে সহযোগিতা ও সংগতি রেখে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যক্রমের মানদন্ড নির্ধারণ করে থাকে।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার জন্যে গঠিত প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মাধ্যমিক ও উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করে। বাংলাদেশের সব জেলায় জেলা শিক্ষা অফিসে এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে এর কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে।    

 

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর

স্বাধীনতা যুদ্ধ উত্তর যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূন:নির্মাণ ও মেরামতের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে একটি প্রকৌশল ইউনিট গঠন করেন। পরবর্তীতে এ ইউনিট রুপান্তরিত হয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নামে নামকরণ করা হয়।  শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মান, বিদ্যমান ভবনগুলোর সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহ করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যুগোপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি সুবিধাসহ ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছে।

 

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এটি একটি স্বায়ত্বশায়িত প্রতিষ্ঠান। প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জনের উদ্দেশ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রতিষ্ঠিত হয়। এনসিটিবি প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ইবতেদায়ী, দাখিল ও ভোকেশনাল স্তরের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের কাজ করে থাকে।

 

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর নির্দেশনায় গঠিত ড. মুহাম্মদ কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনের ১৯৭৪ সালে প্রণীত সুপারিশের প্রেক্ষিতে স্বাধীন বাংলাদেশে পৃথক একটি শিক্ষাতথ্য সংস্থা হিসেবে ‘বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ব্যানবেইস দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিতরণ ও প্রচারের জন্য একমাত্র সরকারি সংস্থা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান কার্যক্রম ছাড়াও শিক্ষা সেক্টরে আই.সি.টি. প্রশিক্ষন ও আই.সি.টি. শিক্ষার প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

 

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এন.টি.আর.সি.এ)

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। এনটিআরসিএ দ্বারা প্রতি বছর নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী প্রার্থীরা মানসম্পন্ন শিক্ষাদানের পুলে প্রবেশ করতে পারে। ২০০৫ সালের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের দ্বারা এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট

দেশের সকল স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা/বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা যাতে অর্থের অভাবে থেমে না যায় তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ এপ্রিল, ২০১০ খ্রি. তারিখে স্বহস্তে লিখিত সানুগ্রহ নির্দেশনা প্রদান করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ প্রণীত হয়। ট্রাস্ট আইন, ২০১২ এর ৩(১) উপ-ধারার বিধান অনুযায়ী মে ২০১২ খ্রিস্টাব্দে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা হয়। উক্ত আইনের ৭(১) উপ-ধারার বিধান অনুযায়ী ০৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘উপদেষ্টা পরিষদ’ গঠন করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা পরিষদ এর সম্মানিত চেয়ারম্যান ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক। আইনের ৮(১) উপ-ধারা অনুযায়ী ২৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘ট্রাস্টি বোর্ড’ রয়েছে  যার সভাপতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ।

 

জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম)

জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সংযুক্ত অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বিভাগের শীর্ষস্থানীয় একটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে এডুকেশন এক্সটেনশন সেন্টার (EEC) প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে এটিকে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম)-এ রূপান্তর করা হয়। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি গুণগত মানসম্পন্ন কেন্দ্র এবং এটি শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনে কাজ করে যাচ্ছে। নায়েমের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষা ক্ষেত্রে জাতীয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য শিক্ষকগণকে জ্ঞান, পেশাগত দক্ষতা, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতৃত্বের গুণাবলি দ্বারা সমৃদ্ধ করা। শিক্ষাক্ষেত্রে পাঠদান পদ্ধতি ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং গবেষণার উন্নয়নের ক্ষেত্রে নায়েম প্রধান ভূমিকা পালন করছে।

 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ক্ষুদ্র জাতিসমূহের ভাষা সংগ্রহ, সংরক্ষণসহ প্রয়োজনীয় গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং বাংলাসহ অন্যান্য ভাষা আন্দোলনের তথ্যসংগ্রহ ও গবেষণা এবং ইউনেস্কোর সদস্য দেশসমূহের মধ্যে এ-সংক্রান্ত তথ্যাবলি পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আইন ২০১০ অনুযায়ী ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে এটি ইউনেস্কোর ক্যাটেগরি ২ প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে।

 

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন

বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সংযুক্ত কার্যালয় হিসেবে ইউনেস্কো এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির মধ্যে লিয়াঁজো স্থাপন এবং সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে। ইউনেস্কো, আইসেস্কো ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বিএনসিইউ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সেমিনার ও সন্মেলনের আয়োজন করে থাকে।

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদশে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়রে আওতাধীন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তর। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন ও নিরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সরকারি নীতমিালা অনুসরণ, সরকারি অর্থের সদ্ব্যবহার এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ১ অক্টোবর ১৯৮০ সালে এ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

 

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কমচারী অবসর সুবিধা আইন, ২০০২ এর মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড গঠন করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর আওতাভুক্ত এমপিওভূক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর সুবিধা প্রদান কার্যক্রম এই বোর্ডের আওতাভুক্ত। এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিও থেকে ৬% টাকা সঞ্চয় করে অবসর সুবিধাদি প্রদান করা হয়ে থাকে।

 

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট বেসরকারী খাতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের কল্যাণ সুবিধা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠিত। এটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ১৯৯০ অনুযায়ী গঠিত হয়।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা

১৯২১ সালের ৭ই মে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা নামে যাত্রা শুরু হয় এ প্রতিষ্ঠানের। The Intermediate and Secondary Education Ordinance, 1961 অনুসারে ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের তদারকি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাবলিক পরীক্ষাসমূহ পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান।

 

মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী ১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান রাজশাহী জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড ও দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের জে.এস.সি, এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষার নিবন্ধন, ফরম পূরণ ও ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যাদি অনলাইন পদ্ধতিতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে সম্পন্ন হয়। 

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার এ ৫টি জেলা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।  এ বোর্ডে ১৩৩০টি বিদ্যালয় ও ২৭৭টি কলেজ আছে। ১৯৯৬ সাল হতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড এসএসসি ও এইচএসসি এবং ২০১০ সাল হতে জেএসসিসহ ৩টি পরীক্ষা গ্রহণের কাজ করছে। দুর্গম পার্বত্য এলাকা এ বোর্ডের আওতাধীন হলেও সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে শিক্ষার প্রসারে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের তদারকি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাবলিক পরীক্ষাসমূহ পরিচালনার লক্ষ্যে The Intermediate and Secondary Education Ordinance, 1961 অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর প্রতিষ্ঠিত হয়। এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষার ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ব্যবস্থা, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ছাত্র/ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা, পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রদান করা এ বোর্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করে। এটি ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত বোর্ডের অর্ডিন্যান্স অনুসারে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের তদারকি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের এস. এস. সি এবং এইচ. এস. সি পরীক্ষা পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৯৯ সালে কার্যক্রম শুরু  করে।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ (Ordinance No. XXXIII of 1961) দ্বারা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ স্থাপন,পাঠদানের অনুমতি,স্বীকৃতি, তদারকি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পাবলিক পরীক্ষাসমূহ পরিচালনা ও উন্নয়নের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা ১৯৬২ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা কান্দিরপাড়ের লাকসাম রোডে এর বর্তমান দাপ্তরিক ভবন অবস্থিত। এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষার ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ব্যবস্থা, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ছাত্র/ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা, পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রদান করা এ বোর্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট

সিলেট বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের তদারকি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাবলিক পরীক্ষাসমূহ পরিচালনার লক্ষ্যে The Intermediate and Secondary Education Ordinance, 1961 অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট প্রতিষ্ঠিত হয়। এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষার ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ব্যবস্থা, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ছাত্র/ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা, পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রদান করা এ বোর্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ।  

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর

মানসম্মত, যুগোপযোগী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলাসমূহের স্থানীয় অধিক্ষেত্রভুক্ত এলাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্ববধান এবং উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর স্থাপন করা হয়। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করা হয়। শিক্ষাবোর্ডের কার্যক্রম, বোর্ডের বিভিন্ন কমিটি এবং অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক কার্যক্রম বোর্ড চেয়ারম্যানের তত্ত্ববধানে পরিচালিত হয়।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি, পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি প্রদান, শিক্ষার্থী ভর্তি, শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন প্রদান, পরীক্ষা গ্রহণ ও পরীক্ষার ফল প্রকাশ, ফল পুনঃনিরীক্ষণ এবং নম্বর পত্র ও সনদ পত্র প্রদানের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে থাকে।